নিজের চেয়ে বড় মেয়েকে বিয়ে করা সম্ভব?

নিজের চেয়ে বড় মেয়েকে বিয়ে  সম্ভব?

 

সময়ের সাথে সাথে সমাজের অনেক ধ্যানধারণা পরিবর্তিত হয়েছে। এক সময় যেখানে পুরুষের চেয়ে কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করাই ছিল দস্তুর, সেখানে এখন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরুষের চেয়ে বয়সে বড় মেয়েদের সাথেও সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে এবং পরিণয়ে গড়াচ্ছে। তাই প্রশ্ন জাগে, নিজের চেয়ে বড় মেয়েকে বিয়ে করা কি আদৌ সম্ভব? এর উত্তর হলো – হ্যাঁ, অবশ্যই সম্ভব।

আইনের চোখে, প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন হওয়াটাই মুখ্য বিষয়। এখানে পাত্র বা পাত্রীর বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই যে বড় বা ছোট হতেই হবে। যদি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্বেচ্ছায় একে অপরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চান, তবে আইনিভাবে তাতে কোনো বাধা নেই।

তবে সামাজিক ও ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। আমাদের সমাজে এখনও পুরুষের চেয়ে কম বয়সী স্ত্রীকে বেশি স্বাভাবিকভাবে দেখা হয়। তাই যখন একজন পুরুষ নিজের চেয়ে বয়সে বড় কোনো নারীকে বিয়ে করেন, তখন কিছু সামাজিক কৌতূহল বা আলোচনা সৃষ্টি হতে পারে। তবে আধুনিক সমাজে এই ধরনের ধ্যানধারণা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং মানুষ এখন ব্যক্তিগত পছন্দ ও বোঝাপড়াকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

ব্যক্তিগতভাবে, নিজের চেয়ে বড় মেয়েকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটি নির্ভর করে দুজনের পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোবাসা এবং সম্মানের উপর। বয়সের পার্থক্য যদি দুজনের মধ্যে কোনো রকম সমস্যা তৈরি না করে এবং তারা একে অপরের সাথে সুখী হন, তবে এই বিয়ে অবশ্যই সফল হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বয়সে বড় হওয়ার কারণে মেয়েরা হয়তো তুলনামূলকভাবে বেশি আত্মবিশ্বাসী, পরিণত এবং জীবনে স্থিতিশীল হন, যা সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে পারে।

তবে কিছু বাস্তব দিকও বিবেচনা করা জরুরি। যেমন, দুজনের জীবনযাত্রা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং পারিবারিক প্রত্যাশাগুলো কতটা সঙ্গতিপূর্ণ। বয়সের পার্থক্যের কারণে দুজনের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক চাহিদার ক্ষেত্রে ভিন্নতা আসতে পারে। এছাড়াও, সন্তানধারণের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হতে পারে। তবে এই বিষয়গুলো শুধু বয়সের পার্থক্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, বরং যেকোনো বিবাহিত সম্পর্কের ক্ষেত্রেই আলোচনার এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধানের প্রয়োজন হয়।

সবশেষে বলা যায়, নিজের চেয়ে বড় মেয়েকে বিয়ে করা আইনত এবং সামাজিকভাবে এখন আর কোনো ব্যতিক্রম নয়। মুখ্য বিষয় হলো দুটি মানুষের মধ্যে গভীর ভালোবাসা, বোঝাপড়া এবং একে অপরের প্রতি সম্মান থাকা। যদি এই ভিত্তি মজবুত থাকে, তবে বয়সের পার্থক্য কখনোই একটি সফল দাম্পত্য জীবনের পথে বাধা হতে পারে না। বরং, অনেক ক্ষেত্রে এটি একটি পরিণত ও স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করতে পারে।

Syed Mozammel Hossain Sunny

[ Matching guru ] it's a brand marriage organization পাত্র-পাত্রীর জুটি-বন্ধনে নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান

View All Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *