ত্রিশের পর বন্ধুত্বে যে পাঁচ ভুল করতে নেই
ত্রিশের পর বন্ধুত্বে যে পাঁচ ভুল করতে নেই
ত্রিশের কোঠা পেরোনোর পর জীবন অনেকখানি থিতু হয়ে আসে। কর্মক্ষেত্র, পরিবার এবং ব্যক্তিগত নানা দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে। এই সময়ে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে এই বয়সে এসে কিছু ভুল করলে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে ফাটল ধরতে পারে। তাই ত্রিশের পর বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে পাঁচটি ভুল এড়িয়ে চলা উচিত:
১. যোগাযোগের অভাব: সময়ের অভাব দেখিয়ে বন্ধুদের থেকে দূরে সরে যাওয়া সবচেয়ে বড় ভুল। ব্যস্ততার মাঝেও পুরনো বন্ধুদের জন্য কিছুটা সময় বের করা জরুরি। নিয়মিত ফোন করা, মেসেজ পাঠানো কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজখবর রাখা বন্ধুত্বের উষ্ণতা বজায় রাখে। হঠাৎ করে দীর্ঘ সময় পর যোগাযোগ করলে দূরত্ব তৈরি হতে পারে।
২. একতরফা প্রত্যাশা: এই বয়সে এসে বন্ধুদের জীবনেও অনেক পরিবর্তন আসে। কারোর হয়তো নতুন চাকরি, কারোর পরিবারে নতুন সদস্য আসতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সবসময় নিজের সুবিধা বা প্রয়োজন অনুযায়ী বন্ধুদের কাছে প্রত্যাশা রাখা উচিত নয়। তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং পরিস্থিতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি।
৩. তুলনা করা: বন্ধুদের পেশাগত বা ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনের তুলনা করা অনুচিত। প্রত্যেকের জীবনের পথ আলাদা এবং তাদের নিজস্ব গতি আছে। ঈর্ষা বা হীনমন্যতা বন্ধুদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে। বরং তাদের সাফল্যে খুশি হওয়া এবং প্রয়োজনে পাশে থাকা উচিত।
৪. খোলা মনে কথা না বলা: কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হলে তা চেপে না রেখে বন্ধুর সঙ্গে খোলা মনে আলোচনা করা প্রয়োজন। ভুল বোঝাবুঝি পুষে রাখলে তা তিক্ততা বাড়াতে পারে এবং সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। সরাসরি এবং শান্তভাবে নিজের বক্তব্য পেশ করলে সমস্যার সমাধান সহজ হয়।
৫. পরিবর্তনকে মেনে না নেওয়া: সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পছন্দ-অপছন্দ পরিবর্তিত হয়। বন্ধুদের এই পরিবর্তনকে সম্মান জানানো উচিত। তাদের নতুন আগ্রহ বা জীবনযাত্রার ধরণ নিয়ে সমালোচনা করা বা পুরনো ধ্যানধারণা আঁকড়ে ধরে থাকার চেষ্টা করা বন্ধুত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ত্রিশের পর বন্ধুত্ব আরও গভীর ও মূল্যবান হয়ে ওঠে। জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পুরনো বন্ধুদের পাশে পাওয়া মানসিক শান্তির কারণ হতে পারে। তাই উপরে উল্লেখ করা ভুলগুলো এড়িয়ে গিয়ে বন্ধুদের সাথে সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।

